মোহায়মিন চৌধুরীঃপ্রতিদিন সেবায়েত,পুরোহিত হত্যার খবরে আমরা ছিলাম ক্লান্ত।একদিন ঘটল গুলশানের সেই ভয়ঙ্কর কালো রাতের ঘটনা।থলের বিড়াল বেরিয়ে আসল।জঙ্গি যারা এইসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক তাদের হর্তাকর্তা হিসেবে কারা আছে তা বেরিয়ে না আসলেও অনুধাবন করা যায় দেশী,বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে।আরও দেখা গেল অনেকলোক নিখোঁজ হয়েছে দেশ থেকে।যারা সিরিয়া পাড়ি জমিয়েছে জঙ্গি ট্রেনিং নেয়ার জন্য।তাদের ভিতরে শিক্ষিত শ্রেণী’র লোকদের পরিমানই বেশী।ইসলামের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ইসলামকে ধ্বংস করার পিছনে এই জঙ্গিরা বড় ভুমিকা নিচ্ছে। জাগো ফাউণ্ডেশনের মত একটি সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান নিয়েও নানা কানাঘুষা শোনা যায়।সমাজসেবার নামের আড়ালে কত অজানা কাহিনী ঘটে যাচ্ছে কেবা তার হিসেব রাখছে! জাগো’র হর্তাকর্তা যখন জঙ্গি তাহমিদকে বাঁচাতে ফ্রি তাহমিদ ক্যাম্পেইন শুরু করে তখন বিশাল ধাক্কা হয়ে আসে অনেকের জন্যই।আজ তাহমিদের জন্য মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে।মিডিয়া নিজেই বিভিন্ন প্রমান উত্থাপনে ব্যস্ত।কে কোথায় কখন কিভাবে বিক্রি হয়ে যায় তা অনুধাবন করা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। কুচক্রীরা নীরব হয়ে গেছে সেরকম ভাবার অবকাশ এখনও নেই।কিছুদিন আগেও দেখেছিলাম প্রধানমন্ত্রী’র a2i এর একটি প্রোগ্রামে একজন সাবেক ছাত্রদল নেতার সেল্ফি।একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে সে উত্তরই বা কে দিবে?সবকিছু হিসেব করলে কেমন যেন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যায়।চারিদিকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়।খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মা আজও যে কোন দুরভিসন্ধি করছে না তা কেউ গেরাণ্টি দিয়ে বলতে পারবেন না। সব ঘটনার মূলে গেলে খোঁজে পাই বি,এন,পি জামায়াত এবং ডঃ ইউনুসের ঐক্যের সুর।যুদ্ধপরাধীর বিচার বানচালের জন্য তারা কি না করেছিল?এণ্টি আওয়ামীলীগ জোট এক হয়েছে।তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অলিম্পিক ভিলেজ হেথায় হোথায়।তারা নিঃসংকোচে দিনাতিপাত করছে।দেশের মানুষ আগুনে পুড়ে মরল কিংবা জঙ্গি হামলায় বিদেশী মরল তাতে তাদের কিবা আসে যায়?প্রতিদিন সেবায়েত,পুরোহিতের মৃত্যুতে যেন তাদের কোন বিকার নেই।এদিকে ইথারে লাশের গন্ধ ওদিকে তাদের ওয়াইনের গ্লাসে ঝংকার উঠা।দেশকে বিশৃঙ্খলতা’র দিকে ঠেলে দিয়ে তারাই যে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। দেশের মানুষ কিংবা দেশ নিয়ে সুদী মহাজনদের কোনদিন ভাবনা নেই।দেশের গরীব,দুঃখী মানুষ ডঃ ইউনুসের জন্য এক একটি ইউনিট।ব্যবসা ইউনিটে হিসেব করেন সুদী মহাজন গরীবের পরিবারগুলোকে।উনার প্রতিষ্ঠানের তাণ্ডব বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে দাগ কেটে গেছে অনেক আগেই।গরীব লোকদের ক্ষুদ্র ঋনের চাকায় পিষ্ঠ করেছেন সেই অনেক কাল হতেই।সেই গরীব লোকদের আহাজারি কর্ণকুহর বিদীর্ণ করে না তাদের। পাষাণ হৃদয়ে মনোকষ্ট নেই।দুঃখ তাদের ছুঁতে পারে না। এইধরণের স্বার্থপরায়ণ লোকদের দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করতে পারেনা।তারা ব্যাথা কিংবা কষ্ট পায় না।তারা থাকে সদা হাস্যোজ্বল।সেই হাসিতে মুক্তা ঝরে আর এদিকে আমার দেশে নিরীহ প্রাণ ঝরতে থাকে।শুনেছি হিলারী ক্লিনটনের সাথেও দারুণ বোঝাপড়া নোবেল বিজয়ী’র। সেদিক হতে হিসেব করলে সব আরও সুন্দর খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে।হিলারী আই,এস-কে অর্থসাহায্য করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে।আমাদের দেশের জঙ্গিদের অর্থসাহায্য কারা করে যাচ্ছে তা হয়ত প্রশাসনের হাতে ইতিমধ্যে প্রমান মিলেছে।আমেরিকার বন্ধু কেউ যে এই কাজ করছে না বা আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে না জঙ্গিদের তা হলফ করে বলা যায় না। আমেরিকায় নির্বাচনের হাওয়া বইছে।আমেরিকার ইলেকশনে কে জিতবে তা ঠিক বুঝে উঠা না গেলেও হিলারীর অবস্থান নিয়ে সংশয় আছে।আমেরিকানরা মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিতে কার্পণ্য করতে পারে এই কারনেই তাদের ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেণ্ট তারা এখনও পায় নাই যেখানে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার কিংবা বিরোধীদলীয় নেত্রীও মহিলাই। আমেরিকার রাজনীতি আমাদের দেশে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করি কারন বর্তমান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শক্ত হাতেই হাল ধরেছেন।এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।বাংলাদেশকে নিয়ে যে কুচক্রীরা কাজ করে যাচ্ছে তারা ধ্বংস হোক এই প্রার্থনা করি হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে।
Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka) Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka) Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)
রাজনীতি, লিড নিউজ | তারিখ : August, 13, 2016, 10:53 am | নিউজটি পড়া হয়েছে :
1967 বার
মোহায়মিন চৌধুরীঃপ্রতিদিন সেবায়েত,পুরোহিত হত্যার খবরে আমরা ছিলাম ক্লান্ত।একদিন ঘটল গুলশানের সেই ভয়ঙ্কর কালো রাতের ঘটনা।থলের বিড়াল বেরিয়ে আসল।জঙ্গি যারা এইসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক তাদের হর্তাকর্তা হিসেবে কারা আছে তা বেরিয়ে না আসলেও অনুধাবন করা যায় দেশী,বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে।আরও দেখা গেল অনেকলোক নিখোঁজ হয়েছে দেশ থেকে।যারা সিরিয়া পাড়ি জমিয়েছে জঙ্গি ট্রেনিং নেয়ার জন্য।তাদের ভিতরে শিক্ষিত শ্রেণী’র লোকদের পরিমানই বেশী।ইসলামের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ইসলামকে ধ্বংস করার পিছনে এই জঙ্গিরা বড় ভুমিকা নিচ্ছে। জাগো ফাউণ্ডেশনের মত একটি সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান নিয়েও নানা কানাঘুষা শোনা যায়।সমাজসেবার নামের আড়ালে কত অজানা কাহিনী ঘটে যাচ্ছে কেবা তার হিসেব রাখছে! জাগো’র হর্তাকর্তা যখন জঙ্গি তাহমিদকে বাঁচাতে ফ্রি তাহমিদ ক্যাম্পেইন শুরু করে তখন বিশাল ধাক্কা হয়ে আসে অনেকের জন্যই।আজ তাহমিদের জন্য মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে।মিডিয়া নিজেই বিভিন্ন প্রমান উত্থাপনে ব্যস্ত।কে কোথায় কখন কিভাবে বিক্রি হয়ে যায় তা অনুধাবন করা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। কুচক্রীরা নীরব হয়ে গেছে সেরকম ভাবার অবকাশ এখনও নেই।কিছুদিন আগেও দেখেছিলাম প্রধানমন্ত্রী’র a2i এর একটি প্রোগ্রামে একজন সাবেক ছাত্রদল নেতার সেল্ফি।একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে সে উত্তরই বা কে দিবে?সবকিছু হিসেব করলে কেমন যেন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যায়।চারিদিকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়।খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মা আজও যে কোন দুরভিসন্ধি করছে না তা কেউ গেরাণ্টি দিয়ে বলতে পারবেন না। সব ঘটনার মূলে গেলে খোঁজে পাই বি,এন,পি জামায়াত এবং ডঃ ইউনুসের ঐক্যের সুর।যুদ্ধপরাধীর বিচার বানচালের জন্য তারা কি না করেছিল?এণ্টি আওয়ামীলীগ জোট এক হয়েছে।তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অলিম্পিক ভিলেজ হেথায় হোথায়।তারা নিঃসংকোচে দিনাতিপাত করছে।দেশের মানুষ আগুনে পুড়ে মরল কিংবা জঙ্গি হামলায় বিদেশী মরল তাতে তাদের কিবা আসে যায়?প্রতিদিন সেবায়েত,পুরোহিতের মৃত্যুতে যেন তাদের কোন বিকার নেই।এদিকে ইথারে লাশের গন্ধ ওদিকে তাদের ওয়াইনের গ্লাসে ঝংকার উঠা।দেশকে বিশৃঙ্খলতা’র দিকে ঠেলে দিয়ে তারাই যে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। দেশের মানুষ কিংবা দেশ নিয়ে সুদী মহাজনদের কোনদিন ভাবনা নেই।দেশের গরীব,দুঃখী মানুষ ডঃ ইউনুসের জন্য এক একটি ইউনিট।ব্যবসা ইউনিটে হিসেব করেন সুদী মহাজন গরীবের পরিবারগুলোকে।উনার প্রতিষ্ঠানের তাণ্ডব বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে দাগ কেটে গেছে অনেক আগেই।গরীব লোকদের ক্ষুদ্র ঋনের চাকায় পিষ্ঠ করেছেন সেই অনেক কাল হতেই।সেই গরীব লোকদের আহাজারি কর্ণকুহর বিদীর্ণ করে না তাদের। পাষাণ হৃদয়ে মনোকষ্ট নেই।দুঃখ তাদের ছুঁতে পারে না। এইধরণের স্বার্থপরায়ণ লোকদের দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করতে পারেনা।তারা ব্যাথা কিংবা কষ্ট পায় না।তারা থাকে সদা হাস্যোজ্বল।সেই হাসিতে মুক্তা ঝরে আর এদিকে আমার দেশে নিরীহ প্রাণ ঝরতে থাকে।শুনেছি হিলারী ক্লিনটনের সাথেও দারুণ বোঝাপড়া নোবেল বিজয়ী’র। সেদিক হতে হিসেব করলে সব আরও সুন্দর খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে।হিলারী আই,এস-কে অর্থসাহায্য করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে।আমাদের দেশের জঙ্গিদের অর্থসাহায্য কারা করে যাচ্ছে তা হয়ত প্রশাসনের হাতে ইতিমধ্যে প্রমান মিলেছে।আমেরিকার বন্ধু কেউ যে এই কাজ করছে না বা আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে না জঙ্গিদের তা হলফ করে বলা যায় না। আমেরিকায় নির্বাচনের হাওয়া বইছে।আমেরিকার ইলেকশনে কে জিতবে তা ঠিক বুঝে উঠা না গেলেও হিলারীর অবস্থান নিয়ে সংশয় আছে।আমেরিকানরা মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিতে কার্পণ্য করতে পারে এই কারনেই তাদের ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেণ্ট তারা এখনও পায় নাই যেখানে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার কিংবা বিরোধীদলীয় নেত্রীও মহিলাই। আমেরিকার রাজনীতি আমাদের দেশে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করি কারন বর্তমান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শক্ত হাতেই হাল ধরেছেন।এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।বাংলাদেশকে নিয়ে যে কুচক্রীরা কাজ করে যাচ্ছে তারা ধ্বংস হোক এই প্রার্থনা করি হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে।
Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka) Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka) Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)